বাংলাদেশে অনলাইনে মোবাইল লোন নিন

বাংলাদেশে অনলাইনে মোবাইল লোন নিতে চান ? সহজ কিস্তিতে ইন্সট্যান্ট মোবাইল লোন নিন এবং দ্রুত অনুমোদনের সুবিধা লাভ করুন। বাংলাদেশে মোবাইল লোন অ্যাপের সুবিধা সম্পর্কে জানুন এবং  খুব সহজেই  মোবাইল  ফোন কেনার লোনের জন্য আবেদন করুন।

প্রিয় পাঠক বাংলাদেশের অনেক ধরনের মোবাইল লোন অ্যাপ রয়েছে যে সকল অ্যাপ থেকে আপনি কম সুদে ইনস্ট্যান্ট লোন নিয়ে আপনার শখের মোবাইল ফোনটি কিনতে পারবেন। কিভাবে আপনি কম সুদে মোবাইল ফোন কিনতে পারবেন সে সকল সম্পূর্ণ গাইডলাইন, মোবাইল লোন নেওয়ার সুযোগ সুবিধা। এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে আপনি বাংলাদেশ ইনস্ট্যান্ট মোবাইল লোন পাবেন।

পোস্ট সুচিপত্রঃ

.

ভুমিকা

বর্তমান সময়ে একটি স্মার্টফোনের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। যেকোনো ধরনের নিউজ জানার জন্য এখন সবার প্রথমে প্রয়োজন মোবাইল ফোন কিন্তু অনেক সময় আমরা বাজেটের অভাবে আমাদের শখের স্মার্টফোনটি কিনতে পারিনা। সাধারণ মানুষের এই সমস্যার সমাধানের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইন মোবাইল লোন দিচ্ছে। আপনিও যদি আপনার শখের স্মার্টফোনটি কিনতে চান তাহলে বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠান থেকে কম সুদে ইনস্ট্যান্ট লোন নিয়ে আপনার শখের স্মার্টফোনটি কিনতে পারেন।

কেন মোবাইল লোন নিবেন

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আপনাদের হয়তো মনে হতে পারে যে কেন আপনারা অনলাইন মোবাইল লোন নিবেন? এই প্রশ্নটি মনে জায়গা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান জনগণের সাধারণ প্রয়োজনের তাগিদার্থে কম সুদে মোবাইল লোন প্রদান করছে। মোবাইল ফোন কেনার লোন গ্রহণ করে অনেক সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় স্মার্টফোনটি কিনতে পারছে। এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো যে মোবাইল লোন অ্যাপ থেকে লোন কি কি সুবিধা পেতে পারেন।\

আরও পড়ুনঃ ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়

দ্রুত অনুমোদনঃ অনলাইন মোবাইল লোন নেয়ার প্রধান সুবিধা হল এ লোনটি দ্রুত অনুমোদন হয়। বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ব্যাংক বা প্রিনটেক মোবাইল কোম্পানি থেকে লোন অনুমোদন করতে অনেক সময় লাগে কিন্তু জরুরি মোবাইল লোন বা মোবাইল ফোন কেনার লোন যদি আপনি এপ্লাই করেন তাহলে খুব দ্রুত এটি অনুমোদন হয়।

সহজ আবেদন প্রক্রিয়াঃ বাংলাদেশে ইনস্ট্যান্ট মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে বেশি ঝামেলার মুখোমুখি হতে হবে না। যেহেতু এই মোবাইল লোন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য আপনি ঘরে বসেই জরুরি মোবাইল লোন নিতে পারবেন।

ঘরে বসে লোন নেওয়াঃ প্রিয় পাঠক বন্ধু মোবাইল ফোন কেনার জন্য জরুরি লোন আপনি ঘরে বসেই নিতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি বিভিন্ন প্রিনটেক মোবাইল কোম্পানি থেকে বা ঐতিহ্যবাহী ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে ব্যাংকে যাতায়াতের ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয় কিন্তু অনলাইনে মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে সেই সকল কোন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগবে না।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ আমরা সকলেই জানি যে কোন প্রকার লোন নেওয়ার জন্য জামিনদার লাগে জমির কাগজ লাগে সাক্ষী লাগে অনেক ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। মোবাইল ফোন কেনার লোন নেওয়ার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি যথেষ্ট।

কোন কোন অ্যাপ থেকে জরুরী মোবাইল লোন পাওয়া যায়

প্রিয় পাঠক বন্ধু আপনি কি জানেন বাংলাদেশের কোন কোন অ্যাপ কম সুদে মোবাইল লোন প্রদান করে? আমার মনে হয় প্রায় ৮০ভাগ মানুষই জানে না যে মোবাইল ফোন কেনার জন্য ইনস্ট্যান্ট মোবাইল লোন গ্রহণের সুযোগ সুবিধা বাংলাদেশে অনলাইন প্রতিষ্ঠান প্রদান করেছে।প্রিয় পাঠক যদি আপনি না জেনে থাকেন যে বাংলাদেশের স্বনামধন্য মোবাইল লোন অ্যাপ কোন গুলো তাহলে চিন্তা কোন কারণ নেই এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি মোবাইল লোন অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

অনলাইন মোবাইল লোন প্রদানকারী অ্যাপের তালিকা ও সুবিধা

এতক্ষনে আপনার নিশ্চয়ই জানতেই পেরেছেন যে বাংলাদেশ আমাদেরকে মোবাইল ফোন কেনার জন্য জরুরি মোবাইল লোন প্রদান করেছে। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়ার পূর্বে সে সকল প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে কি কি সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন সেই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখা লাগবে। তাই এখন আমি আপনাদেরকে ইনস্ট্যান্ট মোবাইল লোন অ্যাপ এর নাম বলব এবং সেই সকল অ্যাপ এর সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানাবো।

Bkash: আজকের যুগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান হল বিকাশ। বিকাশ অ্যাপ এ আপনি কম সুদে মোবাইল লোন নিতে পারবেন। এছাড়াও এই অ্যাপে আপনি আপনার সুবিধামতো কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।

Nagad: বিকাশ এর মতোই জনপ্রিয় লেনদেন সেবার আরেকটি অ্যাপ হল নগদ। এই নগদ অ্যাপ এর মাধ্যমেও আপনি অনলাইন মোবাইল লোন নিতে পারবেন।

Upay: জরুরী মোবাইল লোন অ্যাপ এর জন্য উপায় খুবই জনপ্রিয়। এই উপায় অ্যাপের মাধ্যমে আপনি দ্রুত সময়ে লোন পেতে পারেন এবং আপনার লোনটি খুব দ্রুত অনুমোদন হবে। এছাড়াও এই অ্যাপের সুদের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।

Rocket: বাংলাদেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য জনপ্রিয় হল রকেট। রকেট অ্যাপে আপনি কম সুদে মোবাইল ফোন কেনার জন্য লোন নিতে পারবেন এবং এই প্রতিষ্ঠানটিতে লোন প্রদানের ক্ষেত্রেও আপনার আয়ের ওপর নির্ভর করেই তারা কিস্তি নির্ধারণ করে।

eRin: এই অ্যাপটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের জন্য খুব জনপ্রিয় পাশাপাশি দ্রুত অনুমোদনের জন্য বহুল প্রচলিত একটি অ্যাপ। ই-রিন অ্যাপের মাধ্যমে আপনি অল্প সময়ে ইনস্ট্যান্ট লোন পেতে পারেন।

Lendora:লেনদোরা একটি মূলত কম সুদের জন্য জনপ্রিয়। বাংলাদেশে অনলাইন লোন নেওয়ার জন্য লেনডোরা অ্যাপটি হতে পারে আপনার জন্য খুবই ভালো।

Simplecash: এই অ্যাপটি ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের জন্য কাজ করছে। আপনিও চাইলে এই অ্যাপ থেকে কম সুদে মোবাইল লোন নিতে পারেন। এই অ্যাপের আরেকটি সুবিধা হল আপনি যত টাকা লোন নিতে চান তত টাকায় আপনাকে লোন দিবে তবে শর্ত প্রযোজ্য।

মোবাইল লোন নেওয়ার পদ্ধতি

জরুরী মুহূর্তে নগদ প্রয়োজন? এই সময় আপনার কাজে লাগতে পারে বাংলাদেশ মোবাইল লোন অ্যাপ। হ্যাঁ বন্ধুরা মোবাইল লোন নিয়ে আপনারা যে কোন মুহূর্তে যেকোনো সমস্যা থেকে উদ্ধার হতে পারেন পাশাপাশি কম সুদে মোবাইল লোন নিয়ে আপনারা মোবাইল ফোন কিনতেও পারেন। মোবাইল লোন নেওয়ার পদ্ধতি যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এখনই জেনে নিন কিভাবে আপনি মোবাইল লোন পাবেন।

• বিকাশ অ্যাপ থেকে মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য বিকাশ অ্যাপ এ প্রবেশ করে পিন পিন দিয়ে লগইন করুন।

• অ্যাপে প্রবেশ করার পরে লোন অপশন খুজে বের করুন।

• লোন অপশনটি খুঁজে পাওয়ার পরে একটি ফরম আসবে সে ফর্মটি পূরণ করে জমা দিন।

• ফরম পূরণ করার পরে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন এন আইডি কার্ডের ২ পাশের ছবি এবং আপনার ছবি আপলোড করুন।

• আবেদনের ফরমটি পূরণ করা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করার পরে সাবমিট করুন।

• সাবমিট করার পরে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করুন।

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ এখানে আমি আপনাদেরকে বিকাশ অ্যাপ এর উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছি যে কিভাবে আপনারা অনলাইনে মোবাইল লোন নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি কম সুদে লোন নেওয়ার জন্য অন্যান্য অ্যাপ যেমন নগদ রকেট ই-রিন আবেদন করতে চান তাহলেও আবেদন করার পদ্ধতি একই রকম।

মোবাইল লোনের সুবিধা ও অসুবিধা

আমরা সকলেই জানি যে সকল সুযোগ সুবিধার এবং সার্ভিসে কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। ঠিক তেমনি বাংলাদেশ মোবাইল লোন অ্যাপেরও অনেক সুবিধা রয়েছে আমার কিছু অসুবিধা রয়েছে। লোন নেওয়ার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই সেই সকল সুবিধা এবং অসুবিধা জেনে নিতে হবে।

সুবিধাঃ জরুরী মোবাইল লোন বা কম সুদে মোবাইল লোন নেওয়ার সুবিধা হল এই লোনটি দ্রুত অনুমোদন হয়। এছাড়াও এ লোন এর আবেদন প্রক্রিয়াও খুব সহজ তাই যে কেউ তার হাতের স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইন মোবাইল লোন নিতে পারে।

অসুবিধাঃ অনলাইন মোবাইল লোন বা জরুরী মোবাইল লোনের কিছু অসুবিধা রয়েছে যেমন লোন গ্রহণের জন্য আপনাকে উচ্চহারের সুদ প্রদান করতে হবে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ঋণের দায়গ্রস্থ হওয়া হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।

মোবাইল লোন নেওয়ার আগে জানা জরুরী তথ্য

যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে মোবাইল লোন নেওয়ার পূর্বে কিছু প্রাথমিক তথ্য সকলে জানা প্রয়োজন। আপনারাও যখনই কোন ধরনের লোন গ্রহণ করার চিন্তাভাবনা করবেন তখন এই সকল তথ্য সম্পর্কে পূর্বে জেনে রাখবেন।

সুদের হারঃ আমরা যে সকল অনলাইন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন গ্রহণ করি তারা কিন্তু বিনামূল্যে আমাদেরকে লোন প্রদান করে না। অনলাইন ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন আমাদেরকে ইনস্ট্যান্ট মোবাইল লোন প্রদান করে ঠিক তেমনি কিন্তু তারা হার অধিক নিয়ে থাকে। তাই অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার পূর্বে সুদের হার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিবেন।

পরিশোধের মেয়াদঃ লোন গ্রহণ করলে সেই লোন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা লাগবে। তাই কম সুদে মোবাইল লোন নিয়ে তাৎক্ষণিক টাকা খরচ করে বসে থাকলে চলবে না সেই লোন পরিশোধ করার মেয়াদ জেনে নিতে হবে এবং মেয়াদের মধ্যেই লোন পরিশোধ করতে হবে।

লোনের শর্ত বলী এবং নির্ধারিত সময়ে লোন প্রদান না করতে পারলে কর্তৃপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে কি কি পদক্ষেপ নিতে পারেঃ বাংলাদেশে যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার পূর্বে আমাদেরকে তাদের শর্তগুলো জেনে নিতে হবে। যদি কোন কারণে আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লোন প্রদান করতে না পারি তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আমাদের মধ্যে কি কি পদক্ষেপ নিতে পারে সেই সকল বিষয়েও জেনে নিতে হবে।

লেখক এর শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছি বাংলাদেশে অনলাইন মোবাইল লোন কিভাবে নিতে পারবেন। এছাড়াও কোন কোন প্রতিষ্ঠান ইনস্ট্যান্ট মোবাইল লোন প্রদান করে সেই সকল অ্যাপের সুযোগ এবং সুবিধা গুলো। আপনিও যদি জরুরী মোবাইল লোন নেওয়ার চিন্তা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।