ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম, খাওয়ার বয়স,বানানোর নিয়ম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

প্রিয় পাঠক বন্ধু আপনি কি ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার বয়স, ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম এবং ল্যাকটোজেন ১ বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম।

ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম, খাওয়ার বয়স,বানানোর নিয়ম, দাম ও উপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

আপনি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার বয়স, ল্যাক্টোজেন ১ বানানোর নিয়ম, ল্যাকটোজেন ১ এর উপকারিতা এবং  ল্যাকটোজেন ১ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাই আপনি যদি ল্যাকটোজেন ১ এর দাম এবং ল্যাকটোজেন সংক্রান্ত সকল যাবতীয় তথ্য জানতে চান তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

ভুমিকা - ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম, বানানোর নিয়ম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

.

ল্যাক্টোজেন ১ হলো মায়ের বুকের দুধের বিকল্প একটি শিশু খাদ্য।  ল্যাক্টোজেন ১ মায়ের দুধে বিকল্প হিসেবে শিশুর বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী কারণ এতে রয়েছে সকল পুষ্টিকর উপাদান যেমন ভিটামিন প্রোটিন আয়রন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রয়োজনের সকল খনিজ পদার্থ।

যখন একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হয় তখন তার প্রধান খাদ্য হয় মায়ের বুকের শালদুধ। যদি কোন কারণে মায়ের বুকের দুধ শিশু না পেয়ে থাকে তবে বিকল্প হিসেবে ল্যাক্টোজেন ১  শিশুকে খাওয়ানো পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। তবে অবশ্যই শিশুকে ল্যাকটোজেন ১  খাওয়ানোর পূর্বে ল্যাকটোজেন ১ বানানোর নিয়ম এবং কিভাবে খাওয়াতে হবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ানো সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে চান তাহলে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন আশা করছি আপনি আপনার কাঙ্খিত উত্তরটি পেয়ে যাবেন।

ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার বয়স 

আপনার শিশুকে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ানোর কথা যদি আপনি ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার বয়স কত। ডাক্তার জানিয়েছেন যে, ল্যাক্টোজেন ১ সেই সকল শিশুর জন্য প্রযোজ্য যে সকল শিশুর বয়স 1- 6 মাস।

অর্থাৎ আপনার শিশুর বয়স যদি এক থেকে ছয় মাস হয় তবে আপনি আপনার শিশুকে ল্যাকটোজেন ১ এর গুড়া দুধ খাওয়াতে পারবেন। বাচ্চার শরীর সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অবশ্যই বয়স ভেদে ল্যাকটোজেন খাওয়াতে হবে না হলে শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকবে এবং শিশুর শরীরে বাসা বাঁধবে ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য রক্তশূন্যতা জনিত সমস্যা।

লেকটোজেন 1 কত মাস পর্যন্ত খাওয়ানো যায়

লেকটোজেন 1 কত মাস পর্যন্ত খাওয়ানো যায় অনেকেই জানেন না যার ফলে অনেক মা তাদের শিশুকে ল্যাক্টোজেন ২,৩  খাওয়াতে থাকে ফলে বাচ্চা তার পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান পায় না। তাই কোন বাচ্চাকে ল্যাক্টোজেন ১ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই জানতে হবে লেকটোজেন 1 কত মাস পর্যন্ত খাওয়ানো যায়।

ডাক্তারদের মতে ল্যাক্টোজেন ১ সেই সকল বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার যে সকল বাচ্চার বয়স  ১দিন থেকে ৬ মাস। অর্থাৎ আপনার বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ৬ মাস পর্যন্ত আপনি আপনার বাচ্চাকে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়াতে পারবেন। আশা করছি আপনারা এতক্ষণে জেনে গেছেন যে লেকটোজেন 1 কত মাস পর্যন্ত খাওয়ানো যায়।

 ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম

একটি শিশু জন্মের পরে তার প্রধান খাদ্য হলো তার মায়ের বুকের গাঁজা দুধ বা শাল দুধ। মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার কারণে শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং হাড়ের গঠন মজবুত হয়। মায়ের বুকের দুধে উপস্থিত প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্য এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক কে ধ্বংস করে।

মায়ের বুকের দুধে উপস্থিত এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য শিশুর জিহ্বার ক্ষত দাগ নিরাময়ে করে। কিন্তু কোন কারণে যদি শিশু তার মায়ের বুক থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ না পেয়ে থাকে তখন তার বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ল্যাক্টোজেন ১। শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সরবরাহের জন্য ডাক্তাররা ল্যাকটোজেন ১পাউডার দুধ সেবনের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে কিন্তু শিশুকে ল্যাক্টোজেন ১ খাওয়ানোর পূর্বে জানা প্রয়োজন শিশুকে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম।

চলুন জেনে নিই শিশুকে ল্যাক্টোজেন এক খাওয়ানোর নিয়ম,

১ম ও ২য় সপ্তাহঃ আপনার বাচ্চার বয়স যদি ১ থেকে ১৪ দিন হয় আপনি তাকে ল্যাকটোজেন ১ বা গুঁড়া দুধ খাওয়াতে চান তবে আপনাকে ৯০ মিলিলিটার ফুটানো গরম পানির সাথে তিন চা চামচ  ল্যাকটোজেন ১ মিশিয়ে ভালোভাবে দুধ তৈরি করে নিতে হবে এবং দিনে ৬ বার আপনার শিশুকে খাওয়াতে হবে।

৩য় ও ৪র্থ সপ্তাহঃ আপনার শিশুর বয়স তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহ হলে আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ল্যাক্টোজেন 1 ফর্মুলা দুধ তৈরি করে খাওয়াতে হবে ।  ল্যাক্টোজেন ১ ফর্মুলা দুধ তৈরির জন্য ১২০ মিলিলিটার ফুটন্ত গরম পানি ঠান্ডা করে তার মধ্যে ৪  চামচ ল্যাকটোজেন গুড়া দুধ মিশিয়ে বাচ্চার দুধ তৈরি করে নিতে হবে এবং দিনে ৫ বার শিশুকে খাওয়াতে হবে।

২য় মাসঃ আপনার শিশুর বয়স যখন দুই মাস পৌঁছাবে তখন আপনার শিশুকে ল্যাকটোজেন এক দুধ খাওয়ানোর জন্য ১৫০ মিলি লিটার ফুটন্ত গরম পানির মধ্যে ৫ চামচ গুড়া দুধ মিশিয়ে ভালোভাবে দুধ তৈরি করে নিতে হবে।  দুই মাস বয়সী শিশুকে দিনে ৫  বার  ল্যাকটোজেন ১ দুধ খাওয়াতে হবে।

৩য় ও ৪র্থ মাসঃ শিশুর বয়স যখন ৩-৪ মাস হয়ে যাবে তখন আপনার শিশুকেও পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি সরবরাহের জন্য 180 মিলি লিটার ফুটন্ত গরম পানির মধ্যে ৬ চামচ ল্যাক্টোজেন ১ দুধ মিশিয়ে ভালোভাবে ফর্মুলা দুধ তৈরি করে ফিডারে ভরে নিতে হবে।  ৩থেকে ৪ মাস বয়সের শিশুকে দিনে ৫ বার ল্যাকটোজেন ১ ফিডার দুধ খাওয়াতে হবে।

৫ম ও ৬ষ্ট মাসঃ ৫ থেকে ৬ মাস বয়সী শিশুর জন্য ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম হলো 1210 মিলিটার ফুটন্ত গরম পানি ঠান্ডা করে সে পানির সাথে ৭ চামচ ল্যাক্টোজেন ১ গুঁড়া দুধ ভালো ভাবে মিশিয়ে শিশুকে দিনে ৫ বার  খাওয়াতে হবে।

 আপনি যদি আপনার শিশুকে ল্যাকটোজেন ১ গুড়া দুধ খাওয়াতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম মেনে খাওয়াবেন এবং অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞ কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

 ল্যাকটোজেন ১ বানানোর নিয়ম

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তাদের বাচ্চাকে মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে NESTLE কোম্পানির ল্যাক্টোজেন ১ খাওয়াচ্ছেন।  ডাক্তাররা শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি এবং প্রোটিনের সরবরাহের জন্য ল্যাকটোজেন এক খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেক মায়েরা রয়েছেন যারা তাদের কর্মব্যস্ততার জন্য শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিতে না পেরে ল্যাকটোজেন দুধ খাওয়ায়।

শিশুকে ল্যাক্টোজেন দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম এবং ল্যাকটোজেন ১ বানানোর নিয়ম। সঠিক নিয়মে যদি আপনি ল্যাকটোজেন ১ দুধ বানাতে না পারেন তাহলে বাচ্চা তার পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি পায় না যার কারণে শিশু শরীর দুর্বল হয়ে থাকে এবং প্রায় রোগ বালাই লেগেই থাকে।

ল্যাক্টোজেন এক বানানোর নিয়ম অনেকেই জানেন না তারা  তাদের ব্যস্ততার জন্য তাড়াহুড়ো করে কোন পরিমাপ ছাড়াই ল্যাক্টোজেন ১ এর ফর্মুলা দুধ তৈরি করে যেগুলো খেয়ে শিশুর শরীর দুর্বল হয় এবং ডায়রিয়া পাতলা,পায়খানা লেগেই থাকে। শিশুর শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন,পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন,খনিজ পদার্থ প্রোটিন ক্লোরিন এর সরবরাহ করার জন্য জানতে হবে ল্যাকটোজেন 1 বানানোর নিয়ম।

ল্যাক্টোজেন ১ বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে কারণ আপনার হাতে জীবাণু থাকলে সেই জীবাণু দুধের সাথে মিশে আপনার শিশুর পেটে প্রবেশ করে আপনার শিশুর পাঁচ ওয়াক্ত তন্ত্রের এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা এবং কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে পারে। এছাড়াও হাতের মাধ্যমে যদি কোন ক্ষতিকর জীবাণু আপনার শিশুর শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আপনার শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে যার ফলস্বরূপ আপনার শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ল্যাক্টোজেন ১ বানানোর জন্য প্রথমে পরিষ্কার পানি  ১০-১২ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে এবং সেই পানি ঠান্ডা করে পর্যাপ্ত পরিমাণ অনুযায়ী ল্যাক্টোজেন ১এর গুড়া দুধ ব্যবহার করে ফর্মুলা দুধ তৈরি করে নিতে হবে।  কতটুকু পানির সাথে কতটুকু পরিমাণ দুধ ব্যবহার করতে হবে সেই নিয়ে আমি উপরে আলোচনা করেছি আপনারা সেখান থেকেই দেখে নিবেন।

ল্যাক্টোজেন দুধ তৈরি করার সময় আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যে আপনি কখনোই আন্দাজ মতো দুধ তৈরি করবেন না অনেকেই রয়েছেন যারা বাটিতে করে ফর্মুলা দুধ তৈরি করে যার কারণে সঠিক পরিমাণ পানি এবং দুধ হয় না। সঠিক পরিমাণ পানি এবং দুধের ঘনত্ব যদি না থাকে তাহলে শিশু তার প্রয়োজনমতো পুষ্টি উপাদান শোষণ করতে পারেনা যার কারণে শিশুর শরীর দুর্বল হতে থাকে।

ল্যাকটোজেন ১ বানানোর জন্য একটি ফিডার কিনে নেবেন এবং ফিডারটি প্রতিদিন ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন কারন ফিডারের ভেতরে অবস্থিত জীবাণু বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করলে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকবে এবং পাকস্থলের ক্ষতি হয় যার কারণে শিশু দুধ হজম করতে পারবে না। ফল স্বরূপ শিশুর পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা দেখা দিবে।

ল্যাকটোজেন ১ বানানোর সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন যে গরম পানিতে কখনো ল্যাক্টোজেন ১ পাউডার মেশাবেন না এতে ল্যাক্টোজেন ১  উপকারি গুন গুন হারিয়ে ফেলে। ল্যাকটোজেন একে উপস্থিত গরম পানিতে গলে যায় যার কারণে শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির সরবরাহ হয় না। এছাড়াও গরম পানিতে দুধ তৈরি করে শিশুকে খাওয়ালে শিশুর পেট ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

 ল্যাকটোজেন ১ এর দাম

আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা ল্যাক্টোজেন ১ এর দাম জানেন না।  আপনাকে কি বলব আমি নিজেও জানতাম না ল্যাক্টোজেন ১ এর দাম কত হঠাৎ করে দোকানে কিনতে যেয়ে যখন দেখলাম তখন তো মাথায় হাত যে এতটুকু দুধের দাম এত বেশি।  তাই আপনাকেও জানতে হবে ল্যাকটোজেন ১ এর দাম কত।

  • ল্যাক্টোজেন ১ - ৩৫০ গ্রাম - ৬৫০ টাকা
  • ল্যাক্টোজেন ১ - ৪০০ গ্রাম - ৮৫০ টাকা 
  • ল্যাক্টোজেন ১ ৬৫০ গ্রাম - ১৭৭০ টাকা 
  • ল্যাক্টোজেন ১ ১৮০০ গ্রাম - ৩৮০০ টাকা 

ল্যাক্টোজেন  ১ এর দাম  বাজার দাম অনুযায়ী কখনো বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে তবে আপনি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন NESTLE কোম্পানির ল্যাকটোজেন দুধ কিনে থাকেন। বাজারে দোকানদাররা আপনার থেকে দাম বেশি নিতে পারে তাই কেনার পূর্বে ল্যাকটোজেন ১ এর দাম জেনে রাখা ভালো।

 ল্যাকটোজেন ১ এর উপকারিতা

নবজাতক শিশুর জন্য মায়ের দুধের কোন বিকল্প বা মায়ের দুধের সমকক্ষ কিছু নেই কিন্তু তবুও শিশুকে তাৎক্ষণিক পুষ্টি এবং ক্ষুধা নিবারণের জন্য ল্যাক্টোজেন ১  ডাক্তাররা খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। ল্যাকটোজেন ১ এর উপকারিতা শিশুর জন্য অনেক বেশি এটি মুলত শিশুদের জন্য ফর্মুলেটেড ভাবে তৈরিকৃত স্প্রে মিল্ক। NESTLE কোম্পানি ল্যাক্টোজেন ১ গুড়া দুধটি তৈরি করেছে শুধুমাত্র ৬ মাস বয়সী শিশুদের জন্য।  ল্যাক্টোজেন 1 গুঁড়া দুধ সুইজারল্যান্ড থেকে ফরমুলেটেড কৃত একটি গুঁড়া দুধ।

শিশুর শরীরের বিকাশের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ানো হয়। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর ফলে শিশু শরীরের যে বৃদ্ধি হয় সেগুলো ল্যাকটোজেন ১ এর দ্বারা পূরণ করা সম্ভব বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। তবুও কখনোই মায়ের দুধের মতন পুষ্টি সম্পন্ন হবে না ল্যাকটোজেন ১কিন্তু বাচ্চাকে সুস্থ এবং জীবিত  রাখার জন্য ল্যাকটোজেন ১ এর  উপকারিতা ও  অনেক বেশি।

  • ল্যাক্টোজেন ১ গুড়া দুধে উপস্থিত ক্যালসিয়াম  ম্যাগনেসিয়াম শিশুর হাড়ের গঠন দৃহ করে এবং মজবুত করে।
  • ল্যাক্টোজেন ১ দুধে উপস্থিত আয়রন শিশুর শরীরে রক্তকণিকা উৎপন্ন করে এবং রক্তশূন্যতা দূর হয়।
  • ল্যাক্টোজেন ১ দুধে উপস্থিত লাল হিম নবজাতকের শরীরে লাল অস্থি মজা তৈরি করে এবং রক্ত উৎপন্ন বৃদ্ধি করে।
  • ল্যাক্টোজেন ১ দুধে উপস্থিত ভিটামিন খনিজ লবণ নবজাতকের শরীরে পুষ্টির সরবরাহ এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।
  • ল্যাক্টোজেন ১ দুধে উপস্থিত পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটন নবজাতকের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে এবং  শিশুর শরীরের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
  • শিশুর মানসিক এবং শারীরিক বৃদ্ধির জন্য মায়ের বুকের দুধের বিকল্প হিসেবে ল্যাক্টোজেন ১  কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • ল্যাক্টোজেন ১ উপস্থিত ফাইবার শিশুর শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।
  • ল্যাক্টোজেন ১  দুধে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট শরীরে শর্করা চাহিদা পূরণ করে  পাকস্থলকে খাদ্য পরিপাকের জন্য সক্রিয় রাখে। 
  • ল্যাক্টোজেন ১ উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট, আন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
  • ল্যাক্টোজেন দুধ শিশুর  নবজাতক এর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বজায় রাখে এবং অক্সিজেনের ঘনত্ব সঠিক মাত্রায় রাখে। 


ল্যাকটোজেন ১ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

আমাদের মধ্যে এমন অনেক রয়েছে যারা ল্যাকটোজেন ১ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া  জানে না ? ল্যাকটোজেন আই কেয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তখনই দেখা দেয় যখন সেটি সঠিক নিয়মে বাচ্চাকে না খাওয়ানো হয় অর্থাৎ সঠিক পরিমাপ অনুযায়ী বাচ্চাদের ল্যাকটোজেন দুধ না খাওয়ার কারণে বাচ্চা শরীরে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

ল্যাকটোজেন ১ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো পেট ব্যথা,পাতলা পায়খানা, বমি হওয়া, বাচ্চা কান্নাকাটি করবে যা সহজে থামতে চায় না এগুলো হয় হঠাৎ করে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ানোর কারণে। আপনার বাচ্চাকে যখন ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ানো হবে তখন তার পাতলা পায়খানা হবে কারণ ল্যাকটোজেন ১ উপস্থিত গ্যালাক্টোজ মলকে নরম করে যার কারণে বাচ্চার পাতলা পায়খানা হয়।

ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার পরে যদি বাচ্চার পাতলা পায়খানা হয় তবে আপনি ল্যাকটোজেন রিকভারিং মিল্ক পাউডার খাওয়াতে পারেন।  ল্যাকটোজেন রিকভারি মিল্ক খাওয়ালে বাচ্চার মল শক্ত হয় এবং পাতলা পায়খানা দূর হয়ে যায়। তাই  ল্যাকটোজেন ১ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তবে খুব কম মাত্রায়।

লেখকের শেষ কথা - ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার বয়স - ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক বন্ধু আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম, ল্যাকটোজেন ১  বানানোর নিয়ম এবং ল্যাকটোজেন 1 দাম 1 কেজি জানিয়েছি। আশা করছি আজকের আরটিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। পরিশেষে সতর্কতার জন্য একটি কথা বলবো যে আপনার বাচ্চাকে ল্যাকটোজেন ১ গুড়া দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করে ল্যাক্টোজেন ১ দুধ খাওয়াবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্বাগতম বিডিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url