বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে খুব সহজে আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই ২০২৪ সালে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম। 

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪

এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সুবিধা এবং অসুবিধা পাশাপাশি বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ কিভাবে করবেন। আপনি যদি বিকাশে এজেন্ট একাউন্ট খুলে ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

.

ভূমিকা- বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লেনদেনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো বিকাশ। ব্যবসায়ীরা তাদের লেনদেনের জন্য বেছে নেয় বিকাশ এজেন্ট। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা বিকাশ এজেন্ট হতে চান কিন্তু তারা বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জানে না। তাই আপনিও যদি একজন সফল বিকাশ এজেন্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪

বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে অনেকেই ঘরে বসে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে মাধ্যমে ব্যবসা করতে হলে প্রথমে আপনাকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে হবে এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে হবে।

আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নাই কারণ আপনাদেরকে আমি এখনই জানিয়ে দেবো কিভাবে আপনি ঘরে বসেই বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

চলুন তাহলে আপনাদেরকে জানিয়ে দিই যে প্রাথমিক পর্যায়ে কিভাবে আপনারা বিকাশে এজেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার মোবাইল ফোন অথবা ল্যাপটপ থেকে ক্রোম ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে। গুগল ক্রোম ব্রাউজারে প্রবেশ করার পরে সেখানে আপনি সার্চ করবেন গুগল এজেন্ট একাউন্ট ফরম।যখনই আপনি গুগল এজেন্ট অ্যাকাউন্টের ফর্মে যাবেন তখন আপনাকে নিচের মত একটি পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে।


এই ফরমটিতে আপনার সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করে বিকাশের কাছে জমা দিলে পরবর্তী 24 ঘণ্টার মধ্যে বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে একজন মার্কেটিং অফিসার আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং বিস্তারিত আপনাকে জানিয়ে দিবে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম দুইটা। একটি হলো বিকাশ সার্ভিস পয়েন্ট এ যে মার্কেটিং অফিসারের কাছে আবেদন করা এবং দ্বিতীয়টি হল ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করা। আমার মতে বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা করার জন্য আপনি বাড়িতে বসেই অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট খোলার নিয়ম জেনে আবেদন করবেন এটা অনেক সময় সহজ এবং সহজ নিয়ম।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আমাদেরকে জানতে হবে যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে ? বলতে গেলে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে গেলে কোন টাকা লাগে না কিন্তু যেহেতু বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের লেনদেন করতে হয় তাই বিকাশ অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা রাখা প্রয়োজন।

এখন অনেকেই ভাবতে পারেন যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কোন টাকায় লাগে না এটা কি সত্য কথা না মিথ্যা কথা। এটা সত্য কথা বন্ধুরা কারণ বিকাশ এজেন্ট খোলার জন্য বিকাশ সার্ভিস পয়েন্ট কখনোই কোন টাকা দাবি করে না। বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে আপনাকে প্রথমে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা অথবা আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা লোড করবেন এটা দিয়ে আপনি বিভিন্ন ট্রানজেকশনের কাজ করবেন।

প্রাথমিকভাবে বিকাশে ট্রানজেকশন এবং লেনদেনের জন্য বিকাশে টাকা থাকা প্রয়োজন তাই অবশ্যই আপনি আপনার সাধ্যমত এবং যে এলাকায় আপনি আপনার বিকাশ এজেন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেই এলাকার লেনদেনের হিসাব রেখে কিছু টাকা একাউন্টে লোড করে নিবেন।

বিকাশ এজেন্ট লোকেশন

আমাদের মধ্যে অনেকে ভাইয়েরা রয়েছে যারা বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলে ব্যবসা করতে চান। কারণ পুরো বাংলাদেশের লেনদেনের একমাত্র জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে বিকাশ। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে বিকাশ এজেন্ট লোকেশন কোথায় করলে ভালো লেনদেন হবে।

আপনি যদি একজন সফল বিকাশ এজেন্ট হতে চান অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, যে সকল এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য এবং টাকা পয়সা বেশি লেনদেন হয় সেই সকল জায়গাতে বিকাশ এজেন্ট স্থাপন করা তাহলে আপনার ব্যবসা ভালো চলবে।

বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত ২০২৪

বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে ব্যবসা করার জন্য অনেকেই জানতে চান যে বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত? এটা অবশ্যই জানা প্রয়োজন কারণ কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে তার খুঁটিনাটি বিষয় জানা প্রয়োজন যে প্রতি হাজারে ক্যাশ আউট বা ক্যাশ ইন করলে বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত ২০২৪ দেয়।

বিকাশ এজেন্ট কমিশন ৪ উপায়ে লাভ করা সম্ভব চলুন জেনে নেই সে চারটি উপায় কি কি ,

  • বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে যদি পার্সোনাল অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন অথবা পার্সোনাল একাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা হয় তাহলে উভয় ক্ষেত্রে বিকাশ এজেন্ট কমিশন পাবেন।
  • *২৪৭# ডায়াল করে যদি বিকাশ এজেন্ট ১০০০ করে ট্রানজেক্ট করে তাহলে প্রতি এক হাজার টাকার জন্য বিকাশ এজেন্ট ৪.১০ কমিশন পায়।
  • বিকাশ এজেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে প্রতি ১ হাজার টাকা ট্রানজেকশন এর জন্য বিকাশ এজেন্ট ৪.৩০ কমিশন পায়।
  • এছাড়াও বিকাশ এজেন্ট যদি তার লেনদেন ৯০% অ্যাপের মাধ্যমে করে থাকে তাহলে তিনি অতিরিক্ত ০ .২০টাকা অতিরিক্ত কমিশন পেয়ে থাকে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট লিমিট

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়মের মধ্যে আরেকটি অংশ হলো বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট লিমিট। বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট লিমিট কত।

এখন আমি যদি আপনাদেরকে বলি যে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্টের কোন লিমিট নেই আবার বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে লিমিট রয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই আপনারা গুলিয়ে ফেললেন যে কি কথা বলছেন লেখক।তাহলে চলুন এখন জেনে নেয়া যাক কেন আমি এই কথা বললাম।

একজন বিকাশ এজেন্ট সারা দিনে লিমিট ছাড়া ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট করতে পারবে এক্ষেত্রে ক্যাশ আউটের কোন ধরা বাধা নিয়ম অথবা লিমিট নেই।একজন বিকাশ এজেন্টকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে একটি পার্সোনাল নাম্বারে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ বার ক্যাশ ইন এবং পাঁচবার ক্যাশ আউট করা যায়।

বিকাশ এজেন্ট একটি পার্সোনাল নাম্বারে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা করে দিনে সর্বোচ্চ ৫ বার ক্যাশ ইন এবং ২৫হাজার টাকা করে ৫ বার ক্যাশ আউট করতে পারবে। এটাই হলো মূলত বিকাশ একাউন্ট এবং বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট লিমিট। তাই আপনি যদি একজন নতুন বিকাশ এজেন্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।

বিকাশ এজেন্ট খুলতে কি কি লাগে

বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা শুরু করতে হলে অবশ্যই বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা লাগবে এবং বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে সেগুলো জানতে হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন বিকাশ এজেন্ট খুলতে কি কি লাগে এবং বিকাশ এজেন্ট সিম নেয়ার নিয়ম তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

  • প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান বা দোকানঃ বিকাশ এজেন্ট খুলতে হলে অবশ্যই আপনার একটি প্রতিষ্ঠিত দোকান থাকা লাগবেএবং দোকানটি এমন জায়গায় থাকতে হবে যেখানে লেনদেনের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণ রয়েছে।
  • ট্রেড লাইসেন্সঃ আপনি যে প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠানের একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকা প্রয়োজন যদি আপনার ট্রেড লাইসেন্স না থাকে তাহলে আপনি আপনার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স করে নিবেন।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রঃ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা স্মার্ট এনআইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট এর ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবিঃ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে আপনার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের চার কপি ছবি।
  • সিমঃ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে একটি নতুন সিম কার্ড অথবা আপনার পুরনো সিম কারো ব্যবহার করতে পারবেন। বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম হলো আপনার সিমটিতে পূর্বের কোন বিকাশ একাউন্ট থাকা যাবে না।

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন ফরম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ ২০০০ এর বর্তমানের সকলের প্রায় অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলছে। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার দুটি নিয়মের মধ্যে সবথেকে সহজ নিয়ম হলো অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করে বিকাশ এজেন্ট হওয়া।

কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারে না যে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ কিভাবে করব।কিন্তু আপনারা জেনে অবাক হবেন যে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য অনলাইনে বিকাশ এজেন্টের রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করা খুব সহজ। আপনি যদি অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে চান তাহলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ফরমে আপনার নাম, জেলা, মোবাইল নাম্বার, ইমেল, আপনার এলাকার নাম এবং বাকি অন্যান্য তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।



ওপরের তীর চিহ্নিত অংশগুলো পূরণ করে যেমন আপনার NID কার্ড আছে এটা হ্যাঁ দিবেন ট্রেড লাইসেন্স হ্যাঁ দিবেন এবং ট্রেড লাইসেন্স এর নাম্বার দিয়ে সর্বশেষে আপনি রোবট না সেখানে টিক চিহ্ন দিবেন। আপনার যখন সব কিছু পূরণ করা হয়ে যাবে তোর আরেকবার দেখে সর্বশেষে সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন।

বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা

বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা লেনদেন করার রয়েছে অনেক সুবিধা। বিকাশে টাকা লেনদেন করার সুবিধাগুলোর প্রধান সুবিধা হল হচ্ছে যে এখানে ক্যাশ আউটের কম টাকা কাটে এবং বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে খুব সহজে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল প্রদান করা যায়।

এছাড়াও বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করলে ক্যাশ আউট চার্জ কম এবং খুব সহজেই টাকা লেনদেন করা সম্ভব হয়।বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের জনপ্রিয় একটি লেনদেনের মাধ্যমে বিকাশ এবং এ বিকাশ এজেন্টের সুবিধা অনেক বেশি।

লেখক এর শেষ কথা- বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম 

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ এর উপায় গুলো জানিয়েছি। আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে খুব সহজেই বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন।

আজকের এ আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন এবং যদি কোন বিষয়ে জানা থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাকে জানাবেন এতক্ষন মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্বাগতম বিডিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url